দোয়েল পাখি বাসা বেঁধেছে জবা গাছে। সোহেল তার নতুন ঘর তোলার জন্য আঙিনার অন্যান্য গাছের সাথে জবা গাছও কেটে ফেলে। দোয়েলের চোখে-মুখে বাসা হারানোর বেদনা। দোয়েল আর গান গায় না। ফুলের সাথে খেলা করে না। অন্যদিকে নিলয় তার বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফুল, ফল ও অন্যান্য গাছ লাগায়। গাছগুলোকে সে নিজের মতো ভালোবাসে। তার বাগান দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। পাখিরা তার বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন ফলের গাছ থেকে খাদ্য জোগাড় করে, ফুলের সাথে খেলা করে, গান গায়। দিনের শেষে নিশ্চিন্ত মনে বাসায় ফিরে ঘুমায়। নিলয়কে দেখে অনেকেই। গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়।
উদ্দীপকের নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই কবির প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে। বক্তব্যটি যথার্থ।
বৃক্ষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বৃক্ষ আছে বলে এ পৃথিবীর বুকে জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাচ্ছে।
উদ্দীপকের নিলয় বাড়ির আঙিনার খালি জায়গায় ফল ও অন্যান্য গাছ রোপণ করে। গাছগুলোকে সে ভালোবাসে, যত্ন নেয়। পাখিরা নিলয়ের বাগানে চলে আসে। তারা গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। নিলয়ের বাগান দেখে অনেকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ হয়। আলোচ্য কবিতার কবিও চান পৃথিবীর বুকে গাছপালা ধ্বংস না হয়ে প্রচুর পরিমাণে জন্মাক। তিনি চান দিকে দিকে আবার সবুজ বৃক্ষের সমারোহ সৃষ্টি হোক, পৃথিবী ফুলে ও ফসলে ভরে উঠুক।
পরিবেশের ভারসাম্য তথা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে বৃক্ষের কোনো বিকল্প নেই। তাই বৃক্ষনিধন না করে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। বৃক্ষকে ভালোবাসতে হবে, ধ্বংস করা যাবে না। কবি আলোচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, যা উদ্দীপকে নিলয়ের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি যথার্থ।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?